স্টাফ রিপোর্টার, সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী কাজল আক্তার কুসুম-(১৩)।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট ২০১৯) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডার মিন্দালী পাড়ায় বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে এই বিয়ে ভেঙ্গে দেন। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে কনের মা হারিজা বেগমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেনা মর্মে তার কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করেন।
জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের পশ্চিম মেড্ডার মিন্দালীপাড়ার প্রবাসী মোকতার হোসেনের কন্যা গভঃ মডেল গালর্স হাই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী কাজল আক্তার কুসুমের সাথে পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে ফুলন মিয়া (আসিফ) এর বিয়ের দিন ধার্য্য করা হয়। বৃহস্পতিবার এই বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। সহপাঠীর বাল্য বিয়ের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি গভঃ গালর্স হাই স্কুলের স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সদস্যরা। গত বুধবার তারা বিষয়টি অবহিত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে যান। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে না পেয়ে তারা চলে আসেন।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া জানতে পেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে বরপক্ষ পৌছার আগেই পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন। বন্ধ করে দেন বাল্য বিয়ে। এ সময় কনের মা হারিজা বেগমকে বাল্য বিয়ের আয়োজন করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে তার কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করেন। এ সময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শরীফা বেগম, গভঃ গালর্স হাই স্কুলের শিক্ষক মোঃ গিয়াস উদ্দিন মৃধা এবং সদর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোঃ সেলিম উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, গভঃ মডেল গালর্স হাই স্কুলের স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সদস্যদের মাধ্যমে তিনি বাল্য বিয়ে অনুষ্ঠানের বিষয়টি জানতে পেরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply